ভিডিও শেয়ারিংয়ের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট এখন ইউটিউব। সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ব্যবহারকারীরা নিজস্ব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ভিডিও দেখা এবং আপলোডের সুবিধা পান বলেই ইউটিউব এত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। একই সাথে পছন্দের শিল্পীদের মিউজিক ভিডিও দেখার সুযোগ পান বলেও ইউটিউবে নিয়মিত সময় কাটান ব্যবহারকারীরা।
একটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায়। এ কারণেই ইউটিউব এত জনপ্রিয় বলে অভিমত ফিনল্যান্ডের আল্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের।
গবেষণায় গবেষকরা দেখেছেন, ইউটিউবে সবচেয়ে জনপ্রিয় কনটেন্টের মধ্যে রয়েছে মিউজিক ভিডিও। ব্যবহারকারীদের ভিডিও দেখা এবং শেয়ারিংয়ের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে এই তথ্য দিয়েছেন গবেষকরা।
এ ছাড়া জনপ্রিয় গানগুলো নিয়ে অনেক ব্যবহারকারী নিজেরা নতুন মিউজিক ভিডিও তৈরি করে শেয়ার করেন। সে কারণেও বারবার ওই গান এবং ভিডিওগুলো দেখা হয়। বিশেষ করে জনপ্রিয় গানের মিউজিক ভিডিও হলে সেটা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারও বেশি হয়, যেখান থেকে অনেক ব্যবহারকারী ইউটিউবে আসেন।
গবেষকদলের প্রধান লাসি এ লিক্কানেন বলেন, ‘এই ধরনের গানগুলো ব্যবহারকারীরা নিজেদের আগ্রহেই খুঁজে নেন এবং বাকিদের সাথে সেটা শেয়ার করেন। এ জন্য সংগীতপ্রেমীদের কাছে ইউটিউবের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি’।
গানের কথার গ্রাফিকসসহ ভিডিও কিংবা মিউজিক ভিডিও এগুলো ইউটিউবের সবচেয়ে জনপ্রিয় কনটেন্ট। গবেষকদলের সহ-গবেষক আন্তি সালোভারা বলেন, ‘আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি, তিন ধরনের মিউজিক ভিডিও মানুষ ইউটিউবে বেশি খুঁজে থাকে। প্রচলিত বা জনপ্রিয়, ব্যবহারকারীদের পছন্দ অনুযায়ী এবং হঠ্যাৎ পেয়ে যাওয়া ভিডিও।’
গবেষকরা জানিয়েছেন, শুধু গান শোনার জন্যও ব্যবহারকারীরা ইউটিউব ব্যবহার করেন। কারণ গানের ক্ষেত্রে ইউটিউবের ভাণ্ডার বেশ সমৃদ্ধ। এর কারণ শিল্পীদের পাশাপাশি ব্যবহারকারীরাও জনপ্রিয় গানগুলোর ভিডিও আপলোড করেন। কখনো কখনো লাইভ পারফরম্যান্সের ভিডিও দেওয়া থাকে। একটি গানের অনেকগুলো সংস্করণ পাওয়া যায় বলেই ইউটিউব এত জনপ্রিয়।