আস্ক প্রশ্নে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
1,230 বার প্রদর্শিত
"হিন্দু ধর্ম" বিভাগে করেছেন (44 পয়েন্ট) 4 6 6
পূনঃপ্রদর্শিত করেছেন

3 উত্তর

1 টি পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (555 পয়েন্ট) 5 9 21
হিন্দুধর্মের প্রবর্তক কোন ব্যক্তি বিশেষ নয় ।  যরদুশত মূসা (আ) ঈসা (আ) এর মতো এমন কোন ব্যক্তিত্বের সন্ধান পাওয়া যায় না-যাকে হিন্দুদের পথ প্রদর্শক গণ্য করা যেতে পারে কিংবা যিনি এ ধর্ম ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় গুরুত্বের অধিকারী হতে পারেন।  অনুরূপভাবে হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থগুলোকেও কোন ব্যক্তি বিশেষের সাথে সম্পর্কিত করা যায় না।  পরবর্তীকালে কিছু বিশিষ্ট ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের আবির্ভার ঘটলেও হিন্দুধর্মের সূচনা-পর্বে নৈর্ব্যক্তিকতারই সীলমোহর লেগে রয়েছে।  যেহেতু হিন্দুদের ধর্মীয় ব্যবস্থা সংগঠনে অসংখ্য ব্যক্তিত্ব অংশ গ্রহন করেছেন,  তাই নির্দিষ্ট করে বলা যায় না আসলে হিন্দুধর্মের প্রবর্তক কে? আশা করি সঠিক উত্তরটা পেয়েছেন।
1 টি পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (54 পয়েন্ট) 1
ভাই হিন্দু হল সম্পদায়ের নাম, ধর্ম কি? সনাতন ধর্ম বলতে কোন সাম্প্রদায়িক ধর্মপদ্ধতিকে বোঝায় না। এটি হচ্ছে পরম শ্বাশত জীব সকলের নিত্য ধর্ম। আগেই বলা হয়েছে (গীতা যথাযথ সংস্করণের মুখবন্ধ দ্রষ্টব্য), সনাতন ধর্ম হচ্ছে জীবের নিত্য ধর্ম। শ্রীপাদ রামানুজাচার্য সনাতন শব্দটির ব্যাখ্যা করে বলেছেন, “যার কোন শুরু নেই এবং শেষ নেই”। তাই যখন আমরা সনাতন ধমের কথা বলি, শ্রীপাদ রামানুজাচার্যের নির্দেশানুসারে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, এই ধর্মের আদি নেই এবং অন্ত নেই। বর্তমান জগতে (এ পার্থিব বা জড় জগতে) ধর্ম বলতে আমরা যা বুঝি, সনাতন ধর্ম ঠিক তা নয়। ধর্ম বলতে সাধারণত কোন বিশ্বাসকে বোঝায় এবং এ বিশ্বাসের পরিবর্তন হতে পারে। কোন বিশেষ পন্থার প্রতি কারও বিশ্বাস থাকতে পারে এবং সে এ বিশ্বাসের পরিবর্তন করে অন্য কিছু গ্রহণ করতেও পারে। কিন্তু সনাতন ধর্ম বলতে সেই সব কার্যকলাপকে বোঝায়, যা পরিবর্তন হতে পারে না। যেমন, জল থেকে তার তরলতা কখনই বাদ দেওয়া যায় না। আগুন থেকে যেমন তাপ ও আলোককে বাদ দেওয়া যায় না, তেমনই সনাতন জীবের সনাতন বৃত্তি জীবের থেকে আলাদা করা যায় না। জীবের সং্গে তার সনাতন ধর্ম ওতপ্রোতবাবে জড়িয়ে আছে। সূতরাং যখন আমরা ধর্মের কথা বলি, তখন শ্রপাদ রামানুজাচার্যের প্রামাণ্য ভাষ্য মেনে নিতে হবে যে, এর কোন আদি-অন্ত নেই। যার কোন আদি নেই, অন্ত নেই, সে ধর্ম কখনই সাম্প্রদায়িক হতে পারে না। এ ধর্ম সমস্ত জীবের ধর্ম, তাই তাকে কখনই কোন সীমার মধ্যে সীমিত রাখা যায় না। একে কোন সম্প্রদায়ের মধ্যে বদ্ধ রাখাও চলে না। কিন্তু তবুও কিছু সাম্প্রদায়িক লোক মনে করে যে, ‘সনাতন ধর্মও’ একটি সাম্প্রদায়িক ধর্ম। কিন্তু এটি তাদের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্কীর্ণতা ও বিকৃত বুদ্ধিজাত অন্ধতার প্রকাশ। আমরা যখন আধুনিক বিজ্ঞানের পরিপ্রেক্ষিতে সনাতন ধর্মের যথার্থতা বিশ্লেষণ করি, তখন দেখি যে এ ধর্ম পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের ধর্ম-শুধু তাই নয়, এ ধর্ম সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রতিটি জীবের ধর্ম। অসনাতন ধর্মবিশ্বাসের ইতিহাসের সূত্রপাতের ইতিহাস পৃথিবীর ইতিহাসের বর্ষপঞ্জিতে লেখা থাকতে পারে, কিন্তু সনাতন ধর্মের সূত্রপাতের কোন ইতিহাস নেই। কারণ সনাতন ধর্ম সনাতন জীবের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত থেকে চিরকালই বর্তমান। জীব সম্বন্ধেও বলা হয়েছে যে, সে জন্ম-মৃত্যুর অতীত। ভগবদ্গীতাতে বলা হয়েছে যে, জীবের জন্ম নেই, মৃত্যু নেই। সে শাশ্বত ও অবিনশ্বর এবং তার দেহের মৃত্যু হলেও তার কখনই মৃত্যু হয় না। সনাতন ধর্ম বলতে যে ধর্ম বোঝায়, তা আমাদের বুঝতে হবে ধর্ম কথাটির সংস্কৃত অর্থের মাধ্যমে। ধর্ম বলতে বোঝায় যা অপরিহার্য অঙ্গরূপে কোন কিছুর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত থাকে। যেমন, তাপ ও আলোক এ দুটি গুণ আগুনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তাপ ও আলোক ছাড়া আগুনের কোনরকম প্রকাশ হতে পারে না। তেমনই, জীবের অপরিহার্য অঙ্গ কি? জীবের অস্তিত্বের প্রকাশ কিভাবে হয়? তার নিত্য সঙ্গীরূপে যা তার সঙ্গে চিরকাল বিদ্যমান তা কি? তার এ নিত্য সঙ্গী হচ্ছে তার শাশ্বত প্রকৃতি এবং এবং এই শাশ্বত প্রকৃতিই হচ্ছে তার সনাতন ধর্ম। সনাতন গোস্বামী যখন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুকে জীবের স্বরূপ সম্বন্ধে প্রশ্ন করেছিলেন, তখন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু বলেছিলেন- “জীবের স্বরূপ হয় কৃষ্ণের নিত্য দাস।” শ্রীমন্ মহাপ্রভুর উক্ত উক্তিটি যদি আমরা বিশ্লেষণ করি, তাহলে আমরা সহজেই বুঝতে পারব যে, প্রত্যেক জীব সর্বক্ষণ কোন না কোন জীবের সেবায় ব্যস্ত। এইভাবে অপরের সেবা করার মাধ্যমে জীব নিজস্ব জীবন উপভোগ করে। নিম্নস্তরের পশু, ভৃত্য যেমনভাবে পশুর সেবা কার্য করে, তেমনিভাবে সে মানুষের সেবা করে থাকে। মানুষের মধ্যে আমরা দেখতে পাই যে ‘ক’, ‘খ’ প্রভুর সেবা কার্যে ব্যস্ত; এইভাবে সমস্ত ‘খ’, ‘গ’ প্রভুর সেবা কার্যে ব্যস্ত; ‘গ’, ‘ঘ’ প্রভুর সেবা কার্যে ব্যস্ত; এইভাবে সমস্ত জীব অন্য কোন না কোন এক জীবের সেবা করে চলেছে। আমরা দেখতে পাই যে বন্ধু বন্ধুর সেবা করছে, মা সন্তানের সেবা করছে, স্ত্রী স্বামীর সেবা করছে, স্বামী স্ত্রীর সেবা করছে, রাজনীতিজ্ঞরা জনগণের সেবা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কাছ থেকে ভোট দাবী করছে। দোকানদার খরিদ্দারের সেবা করে, শিল্পী ধনিক-সম্প্রদায়ের সেবা করে, ধনিক- সম্প্রদায় তাদের পরিবারের সেবা করে, পরিবারের প্রত্যেক সদস্য সমাজ সেবা করে থাকে, এইভাবে আমরা দেখতে পাই যে, কোন এক জীব অন্য কোন এক জীবের সেবা না করে থাকতে পারে না। এ থেকে অনুমিত হয় যে সেবাই হচ্ছে জীবের শাশ্বত ধর্ম। তবুও মানুষ দেশ-কাল-পাত্র অনুসারে হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টিয়ান, বৌদ্ধ ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাসের সঙ্গে নিজেকে জড়িত করার ফলে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী হয়ে পড়ে। এই ধরণের ধর্ম বিশ্বাস কখনই সনাতন ধর্ম নয়। কোন হিন্দু তার বিশ্বাসের পরিবর্তন করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করতে পারে অথবা কোন অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষ তার বিশ্বাস পরিবর্তন করে হিন্দু হতে পারে, কিন্তু উক্ত ধর্ম বিশ্বাসের পরিবর্তন হলেও অপরের সেবা করার যে শাশ্বত ধর্ম তা’কে ত্যাগ করে মানুষ কখনই থাকতে পারে না। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টিয়ান যে কোন ধর্মাবলম্বী হোক না কেন মানুষ প্রত্যেক মুহূর্তে অপরের সেবা করে চলেছে। তা বলে কোনো ধর্ম গ্রহণ করা এবং সনাতন ধর্মের আচরণ করা একার্থ বোধক নয়। সেবা করাই হচ্ছে সনাতন ধর্ম। ভগবানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক হচ্ছে সেব্য-সেবক সম্পর্ক। পরমেশ্বর হচ্ছেন পরম ভোক্তা, এবং আমরা সবাই হচ্ছি তাঁর পরিচারক। ভগবানকে সন্তুষ্ট করার জন্য যদি সর্বদা তাঁর সেবা করে চলি তাহলে আমরা সুখী হতে পারবো। এছড়া অন্য কোন প্রকারে সুখী হওয়া সম্ভবপর নয়। উদরকে বাদ দিয়ে শরীরের কোনো অন্য কোন অঙ্গ যেমন সুখী হতে পারে না, তেমনই ভগবানকে বাদ দিয়ে আমরাও কোনো প্রকারে সুখী হতে পারব না। তাই আমাদের সর্বস্ব দান করে আমাদেরকে ভগবানের সেবা করতে হবে; এই সেবা করাই আমাদের স্থিতির একমাত্র উদ্দেশ্য এবং এই সেবা করার মাধ্যমেই আমরা দিব্যানন্দ আস্বাদন করতে পারবো। -শ্রীল প্রভুপাদ (শ্রীমদভগবদগীতা যথাযথ এর মুখবন্ধ এর অংশ বিশেষ)। সূত্র: https://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/ratancp/29892376
0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (1,193 পয়েন্ট) 6 163 172
হিন্দুধর্ম বা সনাতন ধর্মের নির্দিষ্ট কোনো প্রবর্তক নেই । ধর্মগ্রন্থানুসারে , বিশ্বের সৃষ্টির প্রথম দিকে যখন কোনো ব্যক্তির মনে প্রথম ধর্মভাব জেগে ওঠে তখন থেকেই এই ধর্মের উৎপত্তি ।
করেছেন (3,385 পয়েন্ট) 107 574 631
হিন্দু ধর্মের কোন একক প্রবর্তক নেই এটা সত্য তবে এটা যে প্রথম ধর্ম তা ডাহা মিথ্যা কথা। এর না আছে কোন বাস্তবিক প্রমাণ না আছে কোন ঐতিহাসিক সোর্স। আদি ও বর্তমান সনাতনের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। বিশেষ করে আদি সনাতন কোন প্রতিমা উপসনা না করার রয়েছে জোড়ালো প্রমাণ..
করেছেন (1,193 পয়েন্ট) 6 163 172
আপনারা আপনাদের ধর্মকে প্রাচীন মনে করেন । আমরা আমাদের ধর্মকে । তাই এটাকে ডাহা মিথ্যা বলার কোনো অধিকার আপনার নেই । যদি কিছু ভুল বলি ক্ষমা করবেন । কিন্তু সকলেই নিজের ধর্মকে সর্বাধিক শ্রদ্ধা করে । তাই কারোর ধর্মকে অপমান করা উচিত নয় । আপনার কাছে একটা প্রশ্ন রইলো , আপনার মতে , কোনটি বিশ্বের প্রাচীন ধর্ম ?

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

2 টি উত্তর
18 মার্চ 2018 "হিন্দু ধর্ম" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন ALAmin (161 পয়েন্ট) 32 150 166
1 উত্তর
1 উত্তর
19 এপ্রিল 2018 "হিন্দু ধর্ম" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন শামীম মাহমুদ (7,799 পয়েন্ট) 1063 3011 3067

28,172 টি প্রশ্ন

29,716 টি উত্তর

3,148 টি মন্তব্য

3,971 জন সদস্য



আস্ক প্রশ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কমিউনিটির এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং আপনি অন্য জনের প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। মূলত এটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

শীর্ষ বিশেষ সদস্য

...