হস্তমৈথুন, বর্তমানে ইয়ং ছেলেদের কাছে একটি বড় সমস্যা। চিকিত্সা বিজ্ঞান বকে নির্দিষ্ট পরিমাণে হস্তমৈথুন শরীরের পক্ষে ভালোই। কিন্তু সেই নির্দিষ্ট পরিমানের বাইরে হস্তমৈথুন খুবই খারাপ শরীরের পক্ষে। আমাদের মধ্যে অনেকেই এই অতিরিক্ত হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত। হস্তমৈথুন এমন একটি অভ্যাস যা একবার কাউকে পেয়ে বসলে তা ত্যাগ করা খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।
কখনো কখনো দিনে একাধিক বার অভ্যস্ত হয়ে পড়ে এই হস্তমৈথুনে। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন বার বার এই হস্তমৈথুনের ফলে পরবর্তী কালে যৌ-ন জীবনে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়।
হস্তমৈথুনের ফলে যে ক্ষতি হয়েছে তা যেভাবে পূরণ করবেনঃ
চিকিত্সা বিজ্ঞানে দেখা গেছে যে, একবার বীর্যপাতের জন্য যে সময় লাগে, তার জন্য প্রতি মিনিটে একজন পুরুষের খরচ হয় ৪.২ ক্যালরি, আর একটি মেয়ের প্রতি মিনিটে খরচ হয় ৩.১ ক্যালরি। এবার যত সময় ধরে হস্ত-মৈথুন হবে, তার সাথে এই সংখ্যাটা গুন করে মোট কতটা শক্তি খরচ হচ্ছে সেটা হিসেব করা যায়। এবার আমরা জানি যে, আমাদের শরীরে এই ক্যালরির গুরুত্ব কতটা। তাই মোটেই উচিত নয় এই ক্যালরি নষ্ট হওয়া। তাহলে হস্ত-মৈথুনের ফলে নষত হওয়া এই ক্যালরির পূরণ কি করে সম্ভব?
চিকিত্সকরা বলেন যে, এই নষ্ট হওয়া ক্যালরি পুনরুদ্ধারের উপায় হচ্ছে পুষ্টিকর, ক্যালরি যুক্ত খাবার খাওয়া। কি সেই খাবার গুলি, দেখে নিন। চিকিত্সকরা বলেন যে, হস্ত-মৈথুনের পর প্রচুর জল খেতে, এতে অনেক উপকার হয়। এছাড়া তারা আরও বলেন যে, দই খেতে। কারণ দই এ থাকে খুবই উচ্চ ক্যালরি। এক কাপ দইতে থাকে প্রায় ৯১০ ক্যালরি শক্তি।
তাই নষ্ট হয়ে যাওয়া ক্যালরি ফেরাতে এটি খুবই উপকারী বলে জানাচ্ছেন ডক্টররা। এছাড়াও বিভিন্ন ফল, ডিম, দুধ, ছোলা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা, যাদের খুব হস্ত-মৈথুনের অভ্যাস আছে যাদের, তাদের জন্য। কিন্তু সবার আগে এই চেষ্টাটা করতে বলা হচ্ছে যে, পারলে নির্দিষ্ট পরিমানেই হস্ত-মৈথুন করার কথা। আর সেটা সম্ভব না হলে তখনই এই সব ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলছেন চিকিত্সকরা।
এবার আসা যাক, যারা হস্ত-মৈথুন ছেড়ে দিয়েছেন কিছুদিন হল, বা বেশ অনেকদিনই হল তাদের ক্ষেত্রে কি করা যেতে পারে। এই বিষয় টা নিয়ে বেশি ভাববেন না, কারণ আমাদের শরীর নিজে থেকেই এই ক্ষতি পুরন করে নেয়। কিন্তু তারপর ও আরও বেশি করে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। পুষ্টিকর বলতে বেশি করে ফল খান, এর সাথে দুধ, ডিম, মাছ, চিকেন, মধু এসব বেশি করে খান।
Md. Mizan প্রশ্ন ডট কম এর প্রতিষ্ঠাতা। মানুষের সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যেকে লক্ষ্য করেই ২০১৭ সালে প্রশ্ন অ্যানসারস প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি একজন ডিপ্লোমা কম্পিউটার ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যয়নরত আছেন।