আস্ক প্রশ্নে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
255 বার প্রদর্শিত
"ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে করেছেন (47 পয়েন্ট) 3 6
মুসলিমদের আসার আগে ভারতবর্ষ ছিলো কুসংস্কারাচ্ছন্ন একটি ভূখণ্ড। এখানে চালু ছিলো হাজারো কুপ্রথা। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো- বর্ণবৈষম্য, নরবলি ইত্যাদি। আর এই কুপ্রথাগুলোর শিকার ছিলো মূলত সমাজের সাধারণ ও নিম্নস্তরের মানুষগুলো। 

ভারতে মুসলিমরা আসার আগে উচ্চবর্ণের হিন্দু ও পুরোহিতরা সমাজের নিম্নস্তরের নারীদের উপর নানা রকম জুলুম নির্যাতন চালাতো। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো-

.

নগরবধূ প্রথা:

সে সময় কোন নারী যদি সুন্দরী হতো কিংবা সমাজের একাধিক লোক সেই নারীকে পেতে চাইতো, তাহলে রাষ্ট্রীয়ভাবে সেই নারীকে নগরবধূ ঘোষণা করা হতো। অর্থাৎ সে সবার স্ত্রী। একেকজন একেকরাতে তাকে পাবে। সে নগরের বউ। 

.

গুরুপ্রসাদী প্রথা:

হিন্দু সমাজে একসময় এধরণের রীতি প্রচলিত ছিল। এই প্রথা অনুসারে বিয়ের পর স্ত্রীর সাথে সহবাসের আগেই গুরুদেবের কাছে নিবেদন করতে হত নিজের স্ত্রীকে। এভাবে স্ত্রীকে নিবেদনের মাধ্যমে গুরুর কাছে নিজের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জাহির করতো শিষ্য। 

.

মন্দিরের সেবাদাসী প্রথা:

ভারতবর্ষে ইসলাম আসার পূর্বে নিম্নবর্ণের হিন্দু মেয়েরা বিয়ের আগে মন্দিরে সেবাদাসী হিসাবে কাজ করতো। মন্দির ধোয়া মোছা থেকে শুরু করে মন্দিরের ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের শয্যাসঙ্গী হওয়া- প্রায় সব কাজই তাদের করতে হতো। এই নারীরা কিন্তু ব্রাহ্মণদের  কৃতদাসী ছিল না। বরং তারা শুধু তাদের বিয়ের আগের সময়টায় সেবাদাসী হয়ে মন্দিরে কাজ করতো। বিয়ের পর এই নিম্ন বর্ণের হিন্দু নারীরা আর মন্দিরে যেত না।

.

অঘোরী সাধু সমাজ:

এই সমাজের লোকেরা শ্মশানে মৃত ব্যক্তির সাথে সহবাস করে, মৃত ব্যক্তির মাথার খুলিতে খাবার খায়, মানুষের মলমূত্র খায়, নরবলি করে। তাদের মতে পৃথিবীর কোন কিছুই অপবিত্র নয় এবং এসবগুলোই ভালো কাজ। অর্থাৎ মৃত নারীদের সাথে সহবাস করার মতো বিকৃত কাজও তাদের কাছে 'ভালো কাজ'। অঘোরী সাধু সমাজ একেবারেই নির্মূল হয়ে যায়নি। এখনো ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গোপনে এদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। 

.

এবার একটু চিন্তা করে দেখুন, মুসলিমদের আগমনের পূর্বে ভারতবর্ষে নারীদের অবস্থা কেমন ছিলো। জীবিত তো দূরের কথা এমনকি মৃত নারীরাও  কথিত গুরু-সাধকদের কামুক দৃষ্টি এড়াতে পারতো না। মুসলিমদের আগমনের পরই ভারতবর্ষের নারীরা পায় সম্মান ও মর্যাদা। মুসলিমরা আসার পর এই সকল কুপ্রথা তারা বন্ধ করে দেয়।

ভারতবর্ষে এসব কুপ্রথা বন্ধে মুসলিমদের অবদানের ব্যাপারে স্বামী বিবেকানন্দ দাস এজন্যেই বলেছিল- "ইসলাম তো ভারত বর্ষের নিপীড়িত জনগণের জন্য ঈশ্বরের আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল।"

এই প্রশ্নটির উত্তর দিতে দয়া করে প্রবেশ কিংবা নিবন্ধন করুন ।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি উত্তর
0 টি উত্তর
07 জুন 2018 "বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Siddique (4,388 পয়েন্ট) 274 1555 1592
0 টি উত্তর
0 টি উত্তর
13 জুন 2018 "সামাজিক মাধ্যম" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Mehedi Hasan (3,352 পয়েন্ট) 99 558 631

28,156 টি প্রশ্ন

29,682 টি উত্তর

3,147 টি মন্তব্য

3,936 জন সদস্য



আস্ক প্রশ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কমিউনিটির এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং আপনি অন্য জনের প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। মূলত এটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

  1. Provas

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  2. Website

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  3. শারমিন

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  4. MD Rashed Ahmed

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  5. মোঃ শাওন ইসলাম

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

শীর্ষ বিশেষ সদস্য

...