এই প্রযুক্তি মূলত দুইটি অংশের উপর নির্ভরশীলঃ
প্রথমত একটি টাওয়ার, যেটাকে সেলফোন টাওয়ারের সাথে তুলনা করতে পারেন এবং দ্বিতীয়ত এটি রিসিভার, যেটা আপনার ফোন বা পিসিতে বিল্ডইনভাবে থাকে অথবা মডেমে থাকে কিংবা আলাদা রিসিভার ডিভাইজ আইএসপি থেকে প্রদান করে। টাওয়ারটি মূলত বিশাল এরিয়া জুড়ে সিগন্যাল ছুঁড়ে মারে এবং মোটামুটি ৩,০০০ বর্গ মাইল (~৮০০০ বর্গ কিলোমিটার) পর্যন্ত কভারেজ প্রদান করতে পারে ।
ওয়াইম্যাক্স টাওয়ার ষ্টেশনের সাথে সরাসরি হাই ব্যান্ডউইথ ইন্টারনেট কানেক্টেড থাকে, হতে পারে কোন তারের মাধ্যমে টাওয়ারে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস দেওয়া থাকে, আর ঐ ইন্টারনেটই টাওয়ার জাস্ট WiMAX টেকনোলজি ব্যবহার করে আপনার ফোন বা রাউটার পর্যন্ত পৌছিয়ে দেয়। আবার একটি টাওয়ার আরেকটি টাওয়ারের সাথে মাইক্রোওয়েভ লিঙ্ক ব্যবহার করে কানেক্টেড থাকে, যেটাকে ব্যাকহোল (Backhaul) বলা হয়। এই টেকনোলজিতে ব্যবহার করা ট্রান্সমিটার অনেক বেশি দক্ষ হয়ে থাকে ফলে অনেক পরিমানে ডাটা অনেক কম এররে সেন্ড করা সম্ভব হয়। এর রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি অনেক বেশি হয়ে থাকে, মোটামুটি ৬৬ গিগাহার্জ পর্যন্ত ফ্রিকুয়েন্সি পাওয়া যেতে পারে, তাই অত্যন্ত হাই ব্যান্ডউইথ রেট প্রদান করতে সক্ষম হয়।
ওয়াইফাই ব্যান্ডউইথ রেট অনেক ভালো দিলেও, রেঞ্জের ক্ষেত্রে কিন্তু অনেক কম, যেখানে ওয়াইফাই কেবল ৪-৬ মাইল ব্যাসার্ধ কভারেজ দিতে সক্ষম, সেখানে WiMAX ট্রান্সমিটার ৩০ মাইল ব্যাসার্ধ কভারেজ দিতে সক্ষম। ওয়াইফাই আর ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট টেকনোলজি একই নিয়মের উপর প্রতিষ্ঠিত, এটি একটি কম্পিউটার থেকে আরেকটি কম্পিউটারে ডাটা রেডিও সিগন্যালের সাহায্যে সেন্ড করে থাকে। মানে টাওয়ারে বা ষ্টেশনে একটি কম্পিউটার থাকে যেটা ইন্টারনেটের সাথে কানেক্টেড হয়, তারপরে যখন আপনার কম্পিউটার সিগন্যালের আওতাভুক্ত হয়, আপনার কম্পিউটার স্টেশন কম্পিউটারকে রিকোয়েস্ট করে, এভাবেই ইন্টারনেট কানেকশন সম্পূর্ণ হয় (এই আর্টিকেল থেকে পড়ুন, ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে?)। ওয়াইফাই এর মতো এখানেও এনক্রিপশন কী প্রয়োজনীয় হয়, যাতে কেউ অঝথা কানেক্ট করে ইন্টারনেট চুরি না করতে পারে। ওয়াইফাই কানেকশনে যেখানে ভালো সিগন্যাল পেলে ৫৪ মেগাবিট/সেকেন্ড পর্যন্ত ডাটা ট্র্যান্সফার সম্ভব হয় সেখানে ওয়াইম্যাক্স দ্বারা ৭০ মেগাবিট/সেকেন্ড পর্যন্ত স্পীড পেতে পারেন, সাথে ইউজার ভাগ হয়ে গেলেও প্রত্যেকটি বাড়িতে বা ইউজাদের একই স্পীড প্রদান করতে সক্ষম হবে, কিন্তু ওয়াইফাই এ ইউজার বেড়ে গেলে স্পীড ভাগ হয়ে যায়।