আস্ক প্রশ্নে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
386 বার প্রদর্শিত
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (161 পয়েন্ট) 26 150 166
সম্পাদিত করেছেন

1 উত্তর

0 পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন (8,268 পয়েন্ট) 94 561 689
ডিমের কিছু গুণাবলী,,,১. এনার্জির জন্য
কাজ করার জন্য তো আমাদের এনার্জির দরকার হয়ই।ডিম খেলে আমরা সহজেই এই এনার্জি পেতে পারি।ডিমে থাকা ভিটামিন থেকেই মূলত আমরা এই এনার্জি বা শক্তি পেয়ে থাকি।ডিমে থাকা
ভিটামিন বি আমাদের খাওয়া খাদ্যকে এনার্জি বা শক্তিতে রূপান্তরিত করে।তাই প্রতিদিন সকালে ডিমসেদ্ধ খেলে আপনি সারাদিন এনার্জেটিক থাকবেন।
২. চোখের সমস্যা সমাধানে
ডিমে থাকে ভিটামিন এ ,যা আমাদের চোখের জন্য বেশ ভালো।আমাদের দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে ভিটামিন এ।তাছাড়া ডিমে থাকা কেরোটিনয়েড আর ল্যুটেন বয়স হয়ে গেলে চোখের এক বড় সমস্যা,ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।ছানিও কম হওয়ার দিকে থাকে।
৩. ক্যানসার প্রতিরোধে
ক্যানসার তো এখন প্রায় মহামারী হয়ে গেছে।ঘরে ঘরেই প্রায় এই রোগ।আর এই রোগের চিকিৎসাও এত ব্যয়বহুল যে তা অনেকের সাধ্যের বাইরে।তাই খুব ভালো হয় না যদি ডিম খেয়েই আমরা এই সম্ভাবনা কমাতে পারি!ডিমে থাকা
ভিটামিন ই আমাদের কোষে আর ত্বকে থাকা ফ্রি র্যাডিকেল ধ্বংস করে দেয়।তাই ক্যানসার কম হয়।এছাড়াও নতুন কোষ তৈরি হতেও সাহায্য করে থাকে।অ্যাডোলেশন পিরিয়ডে নিয়মিত ডিম খেলে,যেমন সপ্তাহে ৬টি করে,তাহলে ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
৪. পেশীর ব্যথা কমাতে
আজকাল শুধু বয়স হলেই নয়,কম বয়সেই অনেকের পেশীতে ব্যথা হতে থাকে।পেশীর জন্য খুব উপকারী ভিটামিন ডি,যা খুব বেশী পরিমাণে ডিমে পাই আমরা।তাই ডিম খেলে আমাদের পেশী মজবুত হয়।নিয়মিত ব্যায়াম করলে তাই ডিম খেতে বলা হয়।
৫. মেয়েদের শরীরের জন্য
জানেন কি,একজন মেয়ের শরীরের জন্য প্রতিদিন ৫০%-৬০% প্রোটিন দরকার হয়,যেটা ডিম থেকেই পাওয়া যায়?ডিমে থাকে ৮০-৮৫ ক্যালোরি যা ৬.৫ গ্রাম প্রোটিনের সমান।তাই সুস্থ থাকতে মেয়েদের রোজ ডিম খাওয়া প্রয়োজন।
৬. হৃদয়ের সুরক্ষায়
হার্টই তো আমাদের সব।তাই একে সুস্থ তো রাখতেই হবে।এক সমীক্ষায় জানা গেছে যে ডিম হার্টে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না।তাই হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক কম হয় নিয়মিত ডিম খেলে।এর পাশাপাশি সারা শরীরেই রক্ত চলাচল সচল আর স্বাভাবিক রাখে।
৭. কোলেস্টেরলের জন্য
আজকাল কোলেস্টেরল নিয়ে আমাদের চিন্তার অন্ত নেই।আমরা সবসময় ভাবি কোলেস্টেরল কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখব।অনেকে আবার বলেন ডিম নাকি কোলেস্টেরল বাড়ায়।একদমই না।বরং ডিম কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।ডিমে থাকা ওমেগা ৩ এই কাজটি করতে সাহায্য করে।আবার ডিম এইচ.ডি.এল বা ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় প্রায় ১০%।
৮. লিপিড প্রোফাইল ঠিক রাখতে
ডিম লিপিড প্রোফাইলও নিয়ন্ত্রণে রাখে।কোনো বাজে প্রভাব ফেলে না।আর তাছাড়া ডিম লোহিত রক্তকণিকা বাড়াতেও সাহায্য করে।তাই রোজ নিয়ম করে ডিম খান।
৯. কোলাইনের উৎস
আমাদের শরীরের সার্বিক সুস্থতায় কোলাইন আমাদের খুবই প্রয়োজন।কোলাইনের ঘাটতি হলে লিভারের নানান সমস্যা বা নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার হয়ে থাকে।ডিমে প্রায় ৩০০-৩৫০ মাইক্রোগ্রাম কোলাইন থাকে।তাই ডিম খেলে লিভার,স্নায়ু,যকৃৎ সব ভালো থাকে।
১০. অ্যামিনো অ্যাসিডের উৎস
আমাদের শরীরের জন্য প্রোটিন যে খুব দরকারী তা তো আমরা জানিই।কিন্তু এটা কি জানেন যে এই প্রোটিনের মূল উৎস কি?সেটা হল অ্যামিনো অ্যাসিড।প্রোটিন তৈরিতে প্রায় একুশ ধরণের অ্যামাইনো অ্যাসিড লাগে।যার মধ্যে নয়টি শরীরে তৈরি হতে পারে না।এর জন্য বাইরে থেকে প্রোটিনের যোগান লাগে।সেই যোগান দেয় ডিম।তাই ডিম কত উপকারী বুঝতেই পারছেন।
১১. নখ মজবুত করতে
অনেকের কমন সমস্যা হল নখ ভেঙ্গে যাওয়া।নখ নানা কারণেই ভেঙ্গে যেতে পারে।একটি বড় কারণ তো যত্ন না করা।কিন্তু ভেতর থেকেও একটা জিনিসের খামতি থাকলে নখ দুর্বল হয়ে ভেঙ্গে যেতে পারে।সেই উপাদান হল সালফার।নখের জন্য সালফার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আর ডিম হল এই সালফারের উৎস।আর শুধু মজবুত নয়,নখকে সুন্দর,সাদাও রাখে সালফার।তাই নিশ্চিন্তে ডিম খান।
১২. অ্যানিমিয়া আটকায়
অনেকেই অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতায় ভোগেন।মেয়েদের তো শরীর থেকে রক্ত বেরিয়ে যায় বলে তারা অ্যানিমিয়া আক্রান্ত হয়ে থাকেন।আয়রন এই অ্যানিমিয়া হতে দেয় না।আর ডিমে আছে আয়রন।তাছাড়া পিরিয়ডে র সময় রক্ত বেরিয়ে যাওয়ার জন্য মেয়েরা ক্লান্তিতে ভোগে।ডিম খেলে সেই ক্লান্তিও আসে না।
১৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
সামনেই শীত আসছে।এই সময়েই আপনি বুঝবেন আপনার মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কত কম বা বেশি।ঘন ঘন সর্দি-কাশি বা জ্বরে যদি ভুগতে না চান,তাহলে রোজ ডিম খান।ডিমে থাকা জিঙ্ক ইমিউনিটি সিস্টেমকে অনেকটাই শক্তিশালী করে।
১৪. হাড় ও দাঁত মজবুত করতে
আজকাল কম বয়সেই আমাদের বাতের সমস্যা হয়।এর মূল কারণ হাড় শক্তিশালী না হওয়া বা ক্ষয়ে যাওয়া।হাড় মজবুত করতে একান্ত দরকার ফসফরাস।ফসফরাস আবার
দাঁতও মজবুত করতে সাহায্য করে।তাই অনেকদিন পর্যন্ত হাড়ের মজবুতি ধরে রাখতে আর বিন্দাস মাংসের হাড় চিবোতে চাইলে রোজ ডিম খান।
আ ক ম আজাদ আস্ক প্রশ্ন ডটকমের সাথে আছেন সমন্বয়ক হিসাবে। বর্তমানে তিনি একজন শিক্ষক। আস্ক প্রশ্ন ডটকমকে বাছাই করে নিয়েছেন জ্ঞান আহরণ ও জ্ঞান বিতরণের মাধ্যম হিসাবে। ভবিষ্যতে একজন বক্তা ও লেখক হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই আশা পূর্ণতা পেতে সকলের নিকট দু'আপার্থী।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
01 জানুয়ারি 2018 "নিত্য নতুন সমস্যা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ayaan (2,796 পয়েন্ট) 158 422 438
2 টি উত্তর
11 মে 2018 "কৃষি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Siddique (4,388 পয়েন্ট) 274 1555 1592
1 উত্তর
1 উত্তর
15 মে 2018 "শরীর চর্চা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Siddique (4,388 পয়েন্ট) 274 1555 1592

28,156 টি প্রশ্ন

29,682 টি উত্তর

3,147 টি মন্তব্য

3,937 জন সদস্য



আস্ক প্রশ্ন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কমিউনিটির এই প্ল্যাটফর্মের সদস্যের মাধ্যমে আপনার প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এবং আপনি অন্য জনের প্রশ্নের উত্তর বা সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। মূলত এটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

  1. Saddam007

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  2. Provas

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  3. Website

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  4. শারমিন

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

  5. MD Rashed Ahmed

    50 পয়েন্ট

    0 উত্তর

    0 প্রশ্ন

শীর্ষ বিশেষ সদস্য

...