আমরা তো জানি, লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণিতককে সংক্ষেপে ল.সা.গু. বলা হয়। এটাও জানি, লঘিষ্ঠ মানে ছোট বা ক্ষুদ্রতম বা কম সংখ্যক, ন্যূনতম। গুণিতক হচ্ছে একটি সংখ্যাকে কোনো সংখ্যা দিয়ে গুণ করে যে সংখ্যা পাওয়া যায়, তা প্রথম সংখ্যাটির একটি গুণিতক। যেমন ১২-এর গুণিতক হচ্ছে: ১২, ২৪, ৩৬, ৪৮ ইত্যাদি। অর্থাৎ ১২ কে ১ থেকে শুরু করে যে যে সংখ্যা দিয়ে গুণ করে যেসব গুণফল পাওয়া যাবে সেসব গুণফলের প্রতিটি ১২-এর গুণিতক। সাধারণত তিনটি পদ্ধতি অনুসরণ করে ল.সা.গু. নির্ণয় করা যায়। ১. পর্যবেক্ষণের সাহায্যে ২. মৌলিক উৎপাদকের সাহায্যে ৩. সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে।
১. #পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ২৪ ও ৩৬-এর ল.সা.গু. নির্ণয়: এখানে, ২৪-এর গুণিতক: ২৪, ৪৮, ৭২ , ৯৬, ১২০, ১৪৪, ১৬৮, ১৯২, ২১৬, ২৪০ ইত্যাদি। ৩৬-এর গুণিতক: ৩৬, ৭২ , ১০৮, ১৪৪ , ১৮০, ২১৬ , ২৫২, ২৮৮ ইত্যাদি ২৫২, ২৮৮ ইত্যাদি দেখা যাচ্ছে, ২৪ ও ৩৬-এর সাধারণ গুণিতকগুলোর মধ্যে ৭২ সবচেয়ে ছোট বা লঘিষ্ঠ গুণিতক। সুতরাং ২৪ ও ৩৬-এর ল.সা.গু. ৭২।
২. #মৌলিক গুণনীয়ক বা উৎপাদকের সাহায্যে ১৮, ২৪ ও ৩০-এর ল.সা.গু. নির্ণয়: ১৮ = ২×৩×৩, ২৪ = ২×২×২×৩, ৩০ = ২×৩×৫ এখানে ১৮, ২৪ ও ৩০-এর মৌলিক উৎপাদকগুলোর মধ্যে ২ আছে সর্বাধিক ৩ বার [২৪-এর উৎপাদক হিসেবে] ৩ আছে সর্বাধিক ২ বার [১৮-এর উৎপাদক হিসেবে] ৫ আছে সর্বাধিক ১ বার [৩০-এর উৎপাদক হিসেবে] সুতরাং ১৮, ২৪ ও ৩০-এর ল.সা.গু. = ২×২×২×৩×৩×৫=৩৬০
৩. #সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে ল.সা.গু. নির্ণয়: ১৮, ২৪ ও ৪০-এর ল.সা.গু. নির্ণয় এখানে, ২|১৮, ২৪, ৪০ ২|৯, ১২, ২০ ২|৯, ৬, ১০ ৩|৯, ৩, ৫ ৩, ১, ৫ সুতরাং ১৮, ২৪ ও ৪০-এর ল.সা.গু. = ২×২×২×৩×৩×৫= ৩৬০