কথোপকথন কিংবা আলাপচারিতায় যে ফোনটি আপনি ব্যবহার করছেন সে ফোনটি আপনার ক্যারিয়ারের জন্য কোন কোন ক্ষেত্রে বিশাল বাধা হয়ে দাড়াঁতে পারে। যদি ফোনটির যথাযথ ব্যবহার আপনার জানা না থাকে।
জেনে নিই এ সংক্রান্ত কিছু টিপসঃ
১. টেলিফোন ধরা কিংবা কোন ব্যাক্তিকে ফোন করার পর সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে আলাপ শুরু করুন । ফোন ধরে অথবা করেই মূল আলাপ করা থেকে বিরত থাকুন । ব্যাক্তি অপরিচিত হলে তার পরিচয়টা জেনে নিন এবং নিজের পরিচয়টা দিন।
২. মোবাইলে রুচিসম্মত রিংটোন ব্যবহার করুন । কারণ এর মধ্য দিয়ে কারো ব্যাক্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় । সুতরাং সতর্ক থাকুন।
৩. কর্কশ বা উচ্চস্বরে কোন ব্যাক্তির সাথে কথা বলা থেকে যতটা সম্ভব বিরত থাকুন । শিষ্ঠাচার বজায় রাখুন। না হলে আপনার প্রতি ফোনদাতার নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতে পারে।
৪. কল আসলে তৃতীয় রিংটি বেজে ওঠার মধ্যে রিসিভ করার চেষ্টা করুন। খেয়াল করুন, যেখানে ফোন ধরেছেন জায়গাটি ফোন ধরার উপযুক্ত কিনা।
৫. কলারের ফোন লাউড স্পিকারে না শুনে স্বাভাবিকভাবে শোনার চেষ্টা করুন । কারণ এতে আপনার পাশের ব্যাক্তির অসুবিধা হতে পাররে। তাছাড়া ফোনে কলার তার ব্যাক্তিগত কথাও বলতে পারেন । এছাড়া ফোনে লাউডস্পিকারে গান না শোনাই ভালো । দরকার হলে হেডফোন ব্যবহার করুন।
৬. কারো ব্যাক্তিগত ফোন রিসিভ করা থেকে বিরত থাকুন । প্রয়োজনে রিসিভ করলে ম্যাসেজটি অবশ্যই সংশিষ্ট ব্যাক্তিকে পৌঁছে দিন।
৭. ফোনের পাশে ছোট ডায়েরি ও কলম রাখুন। যাতে প্রয়োজনের সময় তা ব্যবহার করতে পারেন।
৮. মিটিং অথবা কোন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ফোন রিসিভ না করাই উত্তম। এসময় কোন ফোন আসলে কলারের নিকট ক্ষমা প্রার্থণা করে পরে ফোন করবেন বলে আশ্বস্ত করুন । এক্ষেত্রে ফোন না ধরে এসএমএস পাঠাতে পারেন। যত্ন সহকারে কলারের ফোন নাম্বারটি টুকে রাখুন যাতে পরে তাকে ফোন করতে পারেন।
৯. গভীর রাতে বা সকালে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ফোন করা উচিত নয়। কারণ এতে যাকে ফোন দিচ্ছেন তার ঘুমের বিঘ্ন ঘটতে পারে ও তিনি বিরক্ত হতে পারেন।
১০. জনবহুল কোন জায়গায় প্রিয়জনের সাখে অতিরিক্ত খোলামেলা কথা বলা থেকে বিরত থাকুন । কারণ আপনার কথায় পাশের লোকটি অপ্রস্তুত বোধ করতে পারে।
১১. আপনজনদের সাথে থাকলে ফোনের কথা সংক্ষেপ করুন। পারলে যিনি ফোন দিয়েছেন তার সাথে পরে কথা বলার প্রতিশ্রুতি দিন।
১২. ফোনে নিস্বরে কথা বলার অনুশীলন করুন। যাতে আপনার পাশের লোকটি বিরক্ত বোধ না করেন।
১৩. বাসে কিংবা যানবাহনে পাশের যাত্রীর অসুবিধার কথা বিবেচনায় রাখুন। কথা সংক্ষেপ করুন। যতটা সম্ভব আস্তে কথা বলুন।
১৪. নিজে ড্রাইভ করার সময় কোনভাবেই ফোন ধরবেন না ।অতি জরুরি গাড়ি হলে গাড়ি থামিয়া কথা বলুন।
১৫. প্রার্থণার জায়গা, লাইব্রেরী, ক্লাসরুম, হাসপাতাল প্রভূতি মোবাইল ফোন সাইলেন্ট মুড কিংবা অফ করে রাখুন।