অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন। হঠাৎ মুখ ফুলে যাওয়া কিন্তু ভালো লক্ষণ নয়। কখনও কখনও এটি শারীরিক অসুস্থতার ইঙ্গিত দেয়।
তাই, একজন ভালো ডাক্তার দেখানো উচিত।
Skin & You Clinic-এর চর্মরোগবিশেষজ্ঞ গীতা ফ্যাজ়ালভয় ও Nanabati Super Speciality Hospital-এর চর্মরোগবিশেষজ্ঞ বন্দনা পঞ্জাবি এব্যাপারে কিছু টিপস্ দিয়েছেন -
1. অতিরিক্ত নুন খাওয়ার কারণে মুখ ফুলে যেতে পারে। হতে পারে প্রোডাক্ট অ্যালার্জি। এর জন্য আপনাকে খাদ্যাভাসে গুরুতর পরিবর্তন আনতে হবে। সুষম খাবার খান। অনেক পরিমাণে ফল ও সবজি খান। যেসব খাবারে নুনের পরিমাণ বেশি, যেমন আচার, চানাচুর, ভুজিয়া, চিপস্ খাবেন না।
2. থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণের মাত্রায় হেরফের হলে মুখ ফুলে যেতে পারে। সবচেয়ে বেশি ফোলাভাব দেখা যায় চোয়ালে। মুখ ডিম্বাকৃতির হয়ে যেতে পারে। একবার থাইরয়েড পরীক্ষা করিয়ে নিন। ওষুধ খেয়ে, যোগা করে থাইরয়েড লেভেল নিয়ন্ত্রণে চলে এলে মুখের ফোলাভাবও ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে।
3. অনেকেই আছেন কাজের চাপে ঠিকঠাক জল খাওয়ার সময় পান না। অনেকে আবার জল খেতে ভুলে যান। এমনও হতে পারে, তেষ্টাই পেল না। তাই জলও খেলেন না। এরকম নানাবিধ কারণে জল খাওয়ার পরিমাণ অনেকেরই কম। সমস্যা বাড়তে পারে গ্রীষ্মকালে। জল কম খেলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। মুখ ফুলে যেতে পারে। তাই প্রচুর জল খান। দিনে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমোন। ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় বা খাবার এড়িয়ে চলুন।
4. মুখের ফোলাভাব কমাতে চাইলে রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে মুখে ঠান্ডা তোয়ালে চেপে বসে থাকুন পাখার তলায়। মুখের ফোলাভাব কমানোর আরও একটা উপায় আছে। ক্যালামাইন লোশনের বোতল ফ্রিজে রেখে সামান্য ঠান্ডা করে নিন। তারপর সেই লোশন মুখে মাখুন। ১৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি ফেসপ্যাকও ব্যবহার করতে পারেন। মুলতানি মাটি ও গোলাপ জলের একটি প্যাক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। ঠান্ডা তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। ফোলাভাব অনেকটাই কমে যেতে পারে।
5. মুখ ফুলে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ মদ্যপান। মদ খেলে মুখ ফোলে। শুধু মুখ নয়, গোটা শরীর ফুলে যেতে পারে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে লিভারে। অ্যালকোহল রক্তনালীকে চওড়া করে দেয়। চেহারায় লালচেভাব আসে। ও সেইসঙ্গে ফোলে মুখ। এই সমস্যা মেটাতে চাইলে সবার আগে মদ্যপানের অভ্যেস ছাড়ুন।
6. শুধু নুন বা সোয়াতে সোডিয়াম থাকে না। সোডিয়াম থাকে প্যাকেটজাত খাবারেও, যেমন - সসেজ, সস, প্যাকেটজাত ফল, সবজি, ইত্যাদি। প্রিজ়ারভেটিভে সোডিয়াম থাকে। সেই সোডিয়াম প্রবেশ করে শরীরে। মুখে ফোলাভাব চলে আসে এর থেকেও। অতএব, যতটা সম্ভব এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চললে সুফল পেতে পারেন।